শহিদুল্লাহ ফরাজী রাজিব পুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ-২০২৪/২৫ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ( টি আর কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ বরাদ্দের প্রকল্পটির বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত শনিবার ১২ জুলাই রাজিব পুর উপজেলা হল রুমে(,টি আর কাবিখা) প্রকল্পের সুষ্ঠু ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এক মতবিনিময় সবার আয়োজন করেন, রাজিব পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী মহোদয় তিনি সকলের উপস্থিতিতে জনসাধারণের মাঝে এ প্রকল্পের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে স্থায়ী জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনা করে প্রকল্পের তালিকা প্রকাশের অনুমতি দেন। এরপর হতেই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই সাধারণ জনতা খোঁজ নিতে শুরু করে এ প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ৩ নং মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের চর ভেলামারি ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর বিরুদ্ধে এ প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় সূত্রে খোজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৮ বছর নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে, মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড চর ভেলামারি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত ৩ বছর ধরে চরটি পুনরায় জেগে ওঠায় এ চরে আবার নতুন করে বসতি গড়ে ওঠে। বর্তমানে এ চড়ে ৫০০ টিরও বেশি পরিবার বসবাস করছে। তাদের চলাচলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বন্যার সময় নৌকা , বন্যা ফুরালে রাস্তা। সেই রাস্তা মেরামতেরই অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ ওঠে, সেই ওয়ার্ডের মেম্বার আসাদ এর উপর। স্থায়ী মোঃ কবির মন্ডল বলেন,গত বছরের তৈরি করা উচু রাস্তা নিচু ও সমান করে মেম্বার এ প্রকল্পটির শতভাগ বাস্তবায়ন দেখান। ভেলামারি ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম তিনি জানান,চলার পথে হঠাৎ দেখতে পাই রাস্তার উঁচু জায়গা হতে মাটি নিয়ে নিচু জায়গায় ভরাট করা হচ্ছে। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান এটি এই ওয়ার্ডের মেম্বার এর কাজ। রাস্তাটি নিচু হওয়ায় বন্যার সময় চলাচলের সমস্যা হবে বিধায় তাদের কাজ করতে বাধা দেই। তখন মেম্বারে অনুসারী,জহুরুল দোকানদার শহিদুল মিয়া ও নুরুল ডাইভার এগিয়ে আসেন কাজে বাধা দিলে ট্রাক্টরের নিচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। মন্জুরুল ইসলাম (মন্জু)দর্জি তিনি বলেন, আমাদের এ চরের একমাত্র ভরসা বন্যার সময় গরু ছাগল নিয়ে মানুষজন এই রাস্থাতেই অবস্থান করেন। চলাচলের এই রাস্তাটি ৪ ফিট্ এর জায়গায় ২ ফিট করেছে, বন্যা আসলেই এই রাস্তাটি তলিয়ে যাবে। এ বিষয়ে মোঃ শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান
একজন মেম্বার অনেক টাকা পয়সা খরচ করে মেম্বার হন। সবার কাছে কাজের হিসাব কেন দেবে। মুঠোফোনে সেই ওয়ার্ডের মেম্বার আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সে সময় মাটি না পাওয়ার কারণে কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারিনি, কাজগুলো চলমান আছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
প্রিন্সিপাল শেখ আব্দুল্লাহ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক জনতার কন্ঠ ২৪/২০২৫