
খায়রুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টারঃ- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৯নং হরিরামপুর ইউপি দলীয় কাউন্সিল নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক ও বর্তমান সভাপতির মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে।
(২৩/০৭/২০২৫০)ইং বুধবার গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৯নং হরিরামপুর ইউনিয়নে আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান সভাপতি প্রার্থী একে অপরকে পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত করছেন।
এই বিতর্কিত অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সভাপতি বর্তমান সভাপতি প্রার্থীকে তার পূর্ববর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, বর্তমান সভাপতির কর্মকাণ্ড বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত।
পাল্টা জবাবে বর্তমান সভাপতি প্রার্থী বলেন, “আমি সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি এবং আগামীতেও করবো। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।”নির্বাচনী প্রচারণায় এই ধরনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
নাম না প্রকাশে এক স্থানীয় ভোটার বলেন, “আমরা উন্নয়ন দেখতে চাই, আগামী নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হব, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নের পক্ষ্য প্রার্থীকে আমরা নাগরিক অধিকার থেকে মূল্যবান ভোট প্রদান করবো এটাই আশা। কিন্তু এই ধরনের অভিযোগ আমাদেরকে বিভ্রান্ত করছে।
সাধারণ জনগন সহ”বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নির্বাচনী সময়ে এরকম অভিযোগ-প্রতিহিংসা, ব্যাক্তি ক্ষোভ ও প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলছে। স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল পক্ষকে সহযোগিতা ও ব্যাক্তি ক্ষোভ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই বিতর্কের ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সকল প্রার্থী এবং সমর্থকদের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ আচরণ আশা করা হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা এবং তথ্যের প্রকাশ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতি নির্বাচনের পরও স্থানীয় রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে এবং সমাজের মধ্যে মতবিরোধের জন্ম দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।