
মোঃজুয়েল আহম্মেদ,রাজিব পুর প্রতিনিধিঃ- চর ভেলামারী নামটি অনেকের কাছে নতুন এটাই স্বাভাবিক।২০০৫ সালে নদীভাংগনের কবলে পরে চরটি বিলিন হয়ে যায়। ১৭ বছর এ চরটি পানির নিচে তলিয়ে ছিলো। সর্বগ্রাসি নদী গ্রাস করে ফেলেছিল চর ভেলামারী গ্রামটি। রাজিব পুর উপজেলা মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে চর ভেলামারী ১ নং ওয়ার্ড। ২০২২ সালে পুনরায় চরটি জেগে ওঠে। বাব দাদার ভিটায় আবার বসতি শুরু করতে থাকে। বর্তমান প্রায় ৫০০ পরিবার বসবাস করছে।তাদের জন্য গড়ে উঠেছে একটি বাজার। তবে দিনের বেলায় এ বাজারে কোন লোকজন বা দোকানদার কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। সন্ধ্যা হওয়ার পর থেকেই লোকজন আসতে শুরু করে।রাত ১২ পর্যন্ত এ বাজারে লোকজনের সমাগম দেখা যায়।এ বাজারে চার পাশে সাদা কাশফুলে এবং সবুজ ঘাশের সমারোহ। এখানে আরো মিলবে মহিষের দল, প্রতিটি দলে রয়েছে ১৫/২০ টি করে মহিষ রয়েছে । আয়নাল হক পাহাড়িকে সভাপতি এবং শহিদুল্লাহ ফরাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪০ জনের সদস্যর কমিটি গঠন করে বাজারটি পরিচালনা করা হয়। বাজারের চার পাশে সুন্দর রাস্তা, যাতে করে গ্রামের লোকজন বাজারে আসতে সুবিধা হয়।গ্রামের ছোট খাটো শালিশ বৈঠক এ বাজারে বসেই সমাধান করেন এলাকার মুরুব্বিরা, এ চরের মানুষের হাজারো সমস্যা থাকার পরেও যেনো কাউকে বলতে পারে না। বন্যার সময় য়েনো কষ্টের শেষ থাকেনা।না খেয়ে না ঘুমিয়ে, ছোট বাচ্চা,বয়স্করা, গরু মহিষ নিয়ে বিপাকে পরে যাই, আগুন জ্বালাবার কোন উপায় থাকেনা,না খেয়ে দিন পার করি,আশে পাশে এলাকায় এান আসে, আমাদের এলাকায় সাহায্যে কোন নৌকা আসে না। এসব কষ্টের মাঝেই যেনো শান্তি খুজে পায় চর ভেলামারীর বাসিন্দা। এ চরের অধিকাংশ লোকই দিনমজুর তারা অধিকাংশই কৃষির উপর নির্ভর করে। ভুট্টা ধান গম, কাউন, বাদাম, পিয়াজ মরিচ, মসুর কালাই, খেসারী কালাই। ইত্যাদি চাষাবাদ হয়। এখানে নেই বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা সৌর শক্তির মাধ্যমেই আলোর চাহিদা পূরণ করে।এ চরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার,এক থেকে দেরশত শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নেই কোন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ৫ কিলোমিটার দুইটি নদী পার হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস থেকেই স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে হয়। তারা যেন অন্য গ্রহের বাসিন্দা দেখার কেউ নেই।