রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি:- ৫ আগস্ট সকাল ১০ ঘতিকা সময় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার আয়োজনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) মহোদয়,এর সভাপতিত্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনঃ
১। জনাব ড. এস এম ফরহাদ হোসেন,পুলিশ সুপার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
২। জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান,পুলিশ সুপার, ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙ্গামাটি রিজিয়ন।
৩। জনাব মোঃ ইকবাল হোছাইন,পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ),রাঙ্গামাটি পার্বত্যজেলা।
,৪। জনাব নূয়েন খীসা, সিভিল সার্জন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
৫। জনাব মোঃ মোবারক হোসেন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার ও পৌর প্রশাসক রাঙ্গামাটি। ঐ
৬।জনাব ওমর ফারুক, উপ-পরিচালক,জেলা সমাজসেবা কার্যালয় রাঙ্গামাটি।
৭। জনাব মুহাম্মদ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রাঙ্গামাটি।
৮। জনাব পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম),রাঙ্গামাটি। ৯। জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিপিএম,জেলা কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
১০। জনাব বিপিন জ্যোতি চাকমা, প্রধান সমন্বয়কারী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি),রাঙ্গামাটি, ১১। জনাব অধ্যাপক আব্দুল আলিম, আমির, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ,রাঙ্গামাটি জেলা শাখা।
,১২। জনাব আব্দুল আহাদ, ছাত্রদল কর্মী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রপ্রতিনিধি রাঙ্গামাটি।
১৩। জনাব মোঃ আমান উল্লাহ,আহত জুলাই যোদ্ধা, রাঙ্গামাটি।
১৪। জনাব সজীব নবাব শরীফ,আহত জুলাই যোদ্ধা, রাঙ্গামাটি।
১৫। জনাব আনোয়ার আল-হক, সাধারন সম্পাদক, রাঙ্গামাটি জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উধ্বর্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ প্রায় উপস্থিত ছিলেন।
আহত জুলাই যোদ্ধা মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, আজ ৫ আগস্ট। ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’। ২০২৪ সালের এই দিনে, আমাদের সহযোদ্ধা ছাত্র-জনতার এক গণবিস্ফোরণে শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছিল। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১৫ বছরের ও বেশি সময়ের ফ্যাসিবাদী শাসন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখনও আহত জুলাই যোদ্ধাগণ যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না,তাদের প্রতি প্রশাসন মনযোগী হওয়ার আহবান জানান।
রাঙামাটি জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার দেশের সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার স্বাধীনতা হরণ করেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, “জুলাই যোদ্ধারা দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা রয়েছে। ‘জুলাই সনদ’ অনেক আগেই প্রদান করা উচিত ছিল।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন হতে হবে, যা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে। সাধারণ মানুষ যাকে চায়, তাকেই যেন নির্বাচিত করার সুযোগ থাকে।” তিনি আরও বলেন, “যদি তা না হয়, তবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মতো সাধারণ জনগণ আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।” এ বিষয়ে তিনি সরকার ও প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পুলিশ সুপার রাঙামাটি বলেন, গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন শাসনের বিরুদ্ধে আজকের এই দিনে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। তিনি উল্লেখ করেন, এই সময়কালে আমরা স্বজাতির দ্বারা নির্যাতনের চিত্র দেখেছি এবং প্রশাসনে স্বাধীনতার অভাব ছিল। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যখন আমরা কিছু করতে পারিনি, তখন তরুণরাই এগিয়ে এসেছিল। ৫ই আগস্ট ছিল সেই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন। তিনি আহ্বান জানান, আজকের দিনে "জুলাই চেতনা" হোক সকলের অনুপ্রেরণার উৎস।
জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ। তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। জুলাই-আগস্ট সেই ভয়াল দিন গুলোর কথা স্মৃতিচারণ করেন,আহত জুলাই যোদ্ধাদের পাশে থাকতে দল মত নির্বিশেষে সকলকে অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠান শেষে আহত ০৮ জন জুলাই যোদ্ধাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জুলাই সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
প্রিন্সিপাল শেখ আব্দুল্লাহ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক জনতার কন্ঠ ২৪/২০২৫