
ওসমানীনগর সিলেট প্রতিনিধি ::
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালা বাজারে বৃহস্পতিবার ০৭-০৮-২০২৫ ইং ২টায় আয়োজিত সুধি সমাবেশে অনুষ্ঠিত।বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমরান রব্বানীর সভাপতিত্বে এবং আলাউর রহমান ইয়াওর ও আব্দুর রবের যৌথ সঞ্চালনায় উপজেলা ও বিএনপির এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির।তিনি বলেন,বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে তারেক রহমানের সাথে থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছেন অধিকার না ছাড়ার, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে আয়োজিত সুধি সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।তিনি বলেন, এই দেশ ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সুশৃঙ্খল আন্দোলনের মাধ্যমে যেভাবে সৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। আর সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমরা তাহার দিকনির্দেশনায় কাজ করছি। উনার নেতৃত্বে আমরা সমন্বয় থাকলেই প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব।দল চাইলে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের ব্যাপারে সবসময় তার দরজা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া জুলুমকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, এম, ইলিয়াস আলী ছিলেন এই এলাকার বাঘ। তিনি ছিলেন সাহসী, নেতৃত্ব ও আন্দোলনের প্রতীক। এই জনপদের মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি কখনো পিছু হটেননি। গণতন্ত্র রক্ষায় তার কণ্ঠ ছিল শাণিত, নেতৃত্ব ছিল স্পষ্ট এবং চিন্তা ছিল দুরদৃষ্টিসম্পন্ন।তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর এই এলাকার রাজনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ হবার নয়। আজও ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথের প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। ইলিয়াস আলী কোথায়? আমরা তার সন্ধান চাই, তাকে ফিরে চাই। এই দাবি শুধু একজন নেতার পরিবারের নয়, এটি এ এলাকার কোটি মানুষের হৃদয়ের আকুতি।নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হুমায়ুন কবির বলেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তাদের সহযোগিতা ছাড়া বৃহৎ কোনো আন্দোলন সম্ভব নয়। তিনি ওসমানীনগরের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সাবেক বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন নুনু।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণগ্রাম হযরত শাহ জালাল সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুশাররফ হোসেন, উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, সুলেমান মেম্বার, সাইস্তা মিয়া মেম্বার, সাহেদ রব্বানী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, আব্দুর রউফ, সাজ্জাদুর রহমান, আব্দুর রব, শাহ জাহাঙ্গির মিয়া, ইয়াওর আলী, পারভেজ মিয়া, শিপু চৌধুরী, আনা মিয়া, সমর আলী, হেলাল মিয়া, দুলাল মিয়া, দবির মিয়া, আলাউর রহমান, জামেল মিয়া, দিদার মিয়া প্রমখ।সুধি সমাবেশে এসএসসি উত্তীর্ণ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।