সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, লিটন হসান লাজুঃ-গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড রেললাইন সংলগ্ন ( ক্যাসেন্জার মোর) সুমনের বাড়ির ভারাটিয়া মোছাঃ রাশিদা বেগমকে মারপিট সহ অমানবিক শারিরীক নির্যাতন করেছে তার মেয়ের জামাই সুজন।
আজ রবিবার রাত ৯.০০ ঘটিকার সময় এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সুজনের সাবেক স্ত্রী জাকিয়ার মা। তারা উভয় পক্ষই গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।
মোঃ সুজন মিয়া (৩৫) পিতা-মোঃ জাহিদুল ইসলাম। মাতা- মোছাঃ সাজিদা বেগম। সং- মাগুরা কেশবপুর। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা, গাইবান্ধা।
মোছাঃ জাকিয়া আক্তার (২০) পিতা মৃত- খলিলুর রহমান। মাতা- মোছাঃ রশিদা বেগম। সাং- পশ্চিম বাটি বোনার পাড়া। থানাঃ সাখাটা। জেলাঃ গাইবান্ধা।
গত ১৩ই আগস্ট সুজনের স্ত্রী জাকিয়া সুজনকে ডিভোর্স করে। এরই সুত্র ধরে স্বামী সুজন জাকিয়ার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়, এবং এর আগে কয়েকবার সে এরকম অসাভাবিক কান্ড ঘটিয়েছে।
সর্বশেষ আজ ৭ই সেপ্টেম্বর রাত ৯.৩০শে রেললাইন ক্যাসেঞ্জার মোড় সুমনের বাসার এসে শাশুড়ী রাশিদা কে জাকিয়ার স্বামী সুজন পাশে থাকা রান্না ঘর থেকে একটি লাঠি এনে শাশুড়ী রাশিদাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে জাকিয়ার বড় বোন খাদিজা মাকে বাচাতে আসলে সুজন তাকেও এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।এবং খাদিজার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে খুন করবে বলে হুমকিও দেয় সুজন।
ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বলেন, সুজন এক সময় আমার মেয়ের জামাই ছিলো। একটি বাচ্চাও আছে তাদের।
সুজন হরহামেশাই নেষা করে এসে আমার মেয়ের সাথে খারাপ আচারন ও শারীরিক নির্যাতন করতো, মাঝে মাঝেই মেয়ের কাছে টাকা চাইতো দিত না চাইলেই শুরু করতো নির্যাতন। সহ্য-করতে না পেরে গত ১৩ই আগস্ট আমার নিজ থেকেই তাকে ডিভোর্স করে।
এরপর থেকেই সুজন বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও মেয়েক নানা ধরনের অনৈতিক কথাবার্তা বলে এমনকি আমাদের দেখে নেবে সহ খুন করার হুমকি দেয়। আজ হঠাৎ সরাসরি বাসায় এসে আমি সহ আমার বড়ো মেয়ের উপর অনমানবিক শারিরীক নির্যাতন ও এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয় যায়। সে আমার মেয়ে ও মেয়ের সন্তানকে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়ে গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
প্রিন্সিপাল শেখ আব্দুল্লাহ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক জনতার কন্ঠ ২৪/২০২৫