
ব্যুরো চীফ, বরিশাল:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান বলেছেন, “বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে অনেকে অমুক ভাই কিংবা তমুক ভাইয়ের অনুসারী পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এটি পরিহার করতে হবে। অতীতে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তারা শতক ভোটও পাননি। এতে প্রমাণিত হয়েছে দলের বাইরে কারও তেমন অবস্থান নেই। তাই ভবিষ্যতে নেতাকে নয়, দলকে ভালোবাসতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে ধানের শীষ প্রতীক দেবেন, তার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আবদুস সোবহান দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “দল থেকে যদি আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তারপরেও যদি আপনারা মনে করেন আমি খারাপ, আমি সংখ্যালঘু নির্যাতনের হুকুমদাতা, আমি চাঁদাবাজ কিংবা জুলুমবাজের গডফাদার—তাহলে আমাকে ভোট দেবেন না। কারণ আমাদের নেতা তারেক রহমান কোনো চাঁদাবাজ, জুলুমবাজ বা বিশ্বাসঘাতককে দলে ঠাঁই দেবেন না।”
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল-১ আসনের দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রস্তুতি সভায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার সোবহান আরও বলেন, “আমাদের সবার একটাই পরিচয়— আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে, বেগম খালেদা জিয়াকে, তারেক রহমানকে এবং ধানের শীষকে ভালোবাসি। তাই দলের নীতিনির্ধারকরা যাকে প্রার্থী করবেন, তার বিজয় নিশ্চিত করাই হবে আমাদের দায়িত্ব।”
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সোবহান। তিনি বলেন, “তৎকালীন সময়ে মনোনয়ন পেলেও এক বিদ্রোহী প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে তার সমর্থক দিয়ে মিথ্যা মামলা করান। ফলে নির্বাচনী প্রচারের মূল সময়ে আমাকে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়। ভোটের মাত্র সাত দিন আগে বৈধ প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে মাঠে নামতে পারি। তবুও আমি প্রায় ৭৪ হাজার ভোট পাই, আর যে আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করেছিল, সে পায় মাত্র শতাধিক ভোট।”
বিগত ওয়ান-ইলেভেনের পর দলের সংকটকালে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে হামলা-মামলা ও কারাভোগ সত্ত্বেও রাজপথে সক্রিয় থাকার স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই দলের শক্তি। অতীতে যেমন ব্যক্তিগত অর্থায়নে তাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও একইভাবে থাকব।”
ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত আবদুস সোবহান বলেন, “ওয়ান-ইলেভেনের পর শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলাম। ছাত্রজীবনে খুব কাছ থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেখেছি। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সরকারি চাকরি ছেড়ে টানা ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। কিছু নেওয়ার জন্য নয়, বরং দলের জন্য কিছু দেওয়ার প্রত্যাশায় আছি। শতভাগ বিশ্বাস করি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।”