1. dailyjonotarkontho01@gmail.com : দৈনিক জনতার কন্ঠ : দৈনিক জনতার কন্ঠ
  2. dailyjonotarkonthonewseditor@gmail.com : Mr Masud Rana : Mr Masud Rana
  3. live@www.dailyjonotarkontho.com : দৈনিক জনতার কন্ঠ : দৈনিক জনতার কন্ঠ
  4. info@www.dailyjonotarkontho.com : দৈনিক জনতার কন্ঠ :
রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা গোবিন্দগঞ্জে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় টপ- ব্রেলিয়ান্ট কেজি স্কুলের শিক্ষার্থী আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ফরিদগঞ্জে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শাহানশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছায়ানীড়ের ভাষা কর্মশালা ও ব্যারিস্টার গোলাম নবী মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যুবদলের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মিডিয়াকর্মি স্বর্ণময়ীর আত্মহত্যায় প্ররোচানাকারীর শাস্তির দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ| গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে শফিকুল ও সাধারণ সম্পাদক লাবলু,সাংগঠনিক দুদু নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও হরিপুরে মির্জা রুহল আমিন গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলা সর্ম্পণ হয়েছে| পিআর আমি নিজেই বুঝিনা,জনগণ বুঝবে কি ? ইস্যু তৈরী করে, নির্বাচন পন্ড করে বিভেদ তৈরী করার চেষ্টা চলছে

সখীপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বন বিভাগের জমি বিক্রির অভিযোগ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত সামাজিক বনায়নের প্রায় দেড় একর জমি বেদে সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বেদে সম্প্রদায়ের লোকদের এনে স্থানীয় ভোটার বানানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার উত্তরপাড়া টাঙ্গাইলাচালা এলাকায় প্রায় দেড় একর জমি বেদে সম্প্রদায়ের দখলে চলে গেছে। একসময় এ জমিতে বনজ ও ঔষধি গাছগাছালিতে ভরপুর সামাজিক বনায়নের প্লট ছিল। এখন সেখানে নতুন একটি পাড়া গড়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান বনের এসব জমি বেদে সম্প্রদায়সহ অন্য এলাকার লোকদের কাছে প্রতি শতাংশ মাত্র ২ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ জমি বিক্রি করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন জানিয়েছেন, প্রমাণস্বরূপ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে কাগজ তাদের দেয়া হয়েছে।

বেদে সম্প্রদায়ের ডালিম ইসলাম বলেন,
“আমাদের আদি বাড়ি ঢাকা সাভারে। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রতি শতাংশ ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় জমি কিনেছি। প্রায় ৪০–৫০টি পরিবার এভাবে জমি কিনে এখানে বসবাস করছে।”

আরেকজন রবিউল ইসলাম জানান,
“আমরা আসার আগে এখানে সামাজিক বনায়নের জমি ছিল। চেয়ারম্যান আমাদের জমি বিক্রি করেছেন এবং ভোটার বানিয়েছেন। অনেকেই সরকারি ভাতাও পাচ্ছেন। আমরা যতদিন বেঁচে আছি এই চেয়ারম্যানকেই ভোট দেব।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন শুধু বনের সাপ, ব্যাঙ, পাখি শিকার করছে না, পরিবেশ ধ্বংসকারী নানা কর্মকাণ্ডেও জড়িত। এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধও বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. জামাল মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন,
“এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এসবের সাথে জড়িত নই।”
এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান বলেন,
“কাহারতা মৌজার এমএম চালা বিটের ৩০ নম্বর দাগের প্রায় দেড় একর জমি ৮ বছর আগে জামাল চেয়ারম্যান জবরদখল করেছেন। এ বিষয়ে মামলাও রয়েছে। যেকোনো সময় যৌথবাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।”

বহেরাতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা এমরান আলী জানান,
“আমি সাত মাস আগে এখানে যোগদান করেছি। শুনেছি চেয়ারম্যান বনের জমি বিক্রি করেছেন। কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান চালাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি। সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা পেলে অবশ্যই অভিযান চালিয়ে জমি উদ্ধার করা হবে।”

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,
“বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক, চেয়ারম্যান যদি তাদের জন্মসনদ দিয়ে থাকেন, তাহলে তারা স্থানীয় ভোটার হতে পারেন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বনায়ন কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল রনি বলেন,
“এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সর্বসত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক জনতার কন্ঠ-২০২৪/২০২৫ আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার আইনত অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট