খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টারঃ-
পটুয়াখালী জেলার রাংগাবালী উপজেলায় আদালত ভবন, এজলাস, পুলিশ, জিআরও বা পেশকার ছাড়াই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের খবরকে ঘিরে জনমনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রাংগাবালী উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি জানা যায়। অথচ বর্তমানে রাংগাবালীতে কেবল দেওয়ানী সহকারী জজ আদালত রয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌকি আদালত বা এ-সংক্রান্ত কোনো অবকাঠামো সেখানে নেই।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যোগাযোগ করা হলে তারা এখনো কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে গলাচিপায় নিয়োজিত জিআরও ও বেঞ্চ সহকারীদের রাংগাবালী এলাকার মামলাগুলো আলাদা করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সময় নথিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গলাচিপা আদালতের জিআরও মো আবু সালেহ জানান, এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানেন না।
গলাচিপা উপজেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, “রাংগাবালীতে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি আমিও দেখেছি। তবে কোন ভিত্তিতে এ নিয়োগ হলো, তা আমার বোধগম্য নয়। কারণ রাংগাবালীতে এখনো আদালতের কোনো ভবন নেই। এজলাস নেই, হাজত খনা নেই। ভবন এবং হাজত খানা ছাড়া আদালত পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া রাংগাবালীর পুরোনো সব মামলার নথি গলাচিপা আদালতেই সংরক্ষিত রয়েছে। এ বিষয়ে আগে কোনো প্রক্রিয়া বা সংকেত পাইনি।”
মামলার জব্দ হওয়া আলামত নিয়েও দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন-- ধারালো দাও লাঠি থেকে শুরু করে মাদক আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে হয় মালখানায়। নেই সেরকম কোন নিরাপদ স্থান।
সচেতন মহলের মতে, রাংগাবালী থেকে জেলা সদরে যেতে বিশাল আগুনমুখা নদী পার হতে হয়, যা বর্ষা মৌসুমে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আসামি নিয়ে জেলা কারাগারে যাতায়াত করাও তখন মারাত্মকভাবে দুরূহ হয়ে ওঠে। রাংগাবালী থানা থেকে পটুয়াখালী জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। আদালতের ভবন ও অবকাঠামো ছাড়াই বিচারক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
প্রিন্সিপাল শেখ আব্দুল্লাহ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক জনতার কন্ঠ ২৪/২০২৫