
শহিদুল্লাহ ফরাজী, রাজিব পুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ-
কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বর্তমানে মাঠপর্যায়ে টানা জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে তিনি শুনছেন সাধারণ জনগণের সমস্যার কথা, দিচ্ছেন প্রতিটি সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধানের আশ্বাস।
জনসংযোগ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা লিফলেট বিতরণ করছেন এবং মানুষকে এই দফাগুলোর তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করে তুলছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের শান্তি-উন্নয়নের জন্য ৩১ দফাকে বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা হিসেবে তুলে ধরছেন তিনি।
অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মনে করেন, দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো ধানের শীষ প্রতীক কে জয়যুক্ত করা। তিনি জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিএনপি-ই সেই দল যারা বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে লড়াই করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের প্রতি তিনি বলেন।
“তরুণ প্রজন্মই এদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে তরুণদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন পথটা গণতন্ত্রের এবং দেশের কল্যাণের বয়ে নিয়ে আসবে।
তিনি তরুণদেরকে আহ্বান করছেন ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের গতি ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। তারুণ্যের মাঝে তিনি গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন, ফলে তরুণ সমাজের মধ্যে তিনি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান ইতিমধ্যে চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক আলোচিত ও জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠেছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা তার গতিশীল নেতৃত্ব, সংগঠনের প্রতি নিষ্ঠা ও ভালোবাসা এবং জনসম্পৃক্ততাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর বিএনপির অনেকেই বিশ্বাস করেন, তার মতো উদ্যমী ও জনসম্পৃক্ত প্রার্থীই পারেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে।
জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও গণতন্ত্রের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে, তরুণ সমাজকে আগামীর পথ দেখিয়ে অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির একজন অগ্রগামী ও সম্ভাবনাময় নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে এলাকার মানুষ যেমন আশাবাদী, তেমনি বিএনপির নেতাকর্মীরাও দেখছেন নতুন ভোরের সম্ভাবনা।