
আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, খরচ হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা, বরাদ্দ আছে ৩২ হাজার কোটি। বাকি টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এই সামান্য দাবি মানতে না পারলে এটি আমাদের জন্য ব্যর্থতা।”
এবারও দূর্গা পূজা উপলক্ষে ভারত বারবার অনুরোধ করেছে, ইলিশ প্রদানের জন্য। সেই প্রেক্ষিতে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুমতি পত্র চাওয়া হয়েছে। এজন্য ১২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একদিকে দুর্গাপূজা, অন্যদিকে আমাদের প্রতিবেশী দেশ—সব কিছু মিলিয়ে আমরা ইলিশ মাছ দিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে সদরের বুড়ির বাঁধ সংলগ্ন জলাশয়ে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে মৎস্যজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি—বাংলাদেশের মানুষ আগে ইলিশ খাবে। আমরা চেষ্টা করছি মাছ উৎপাদন বাড়াতে। এছাড়াও এ এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কুচিয়া, কাকরাসহ নতুন কিছু উৎপাদন করা যায় কি না, সেটাও আমরা ভাবছি।”

অভয়াশ্রমগুলো কিভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে জড়ালো ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. আবদুর রউফ, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার জিয়াউর রহমান বকুল, নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা সহ অনেকে।
এর আগে উপদেষ্টা অভয়াশ্রমে মৎস্য অবমুক্ত করেন এবং পরে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘুরে দেখেন।