মোঃ রাকিব হাসান| কুড়িগ্রাম (রাজিবপুর) প্রতিনিধি|
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের টাঙ্গালিয়াপাড়া সর্দার মার্কেট এর সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদীর শাখা ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার কয়েক হাজারের ও বেশি মানুষকে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিশু-বৃদ্ধসহ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে। দ্রুত সেখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সাবেক এমপি এডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ এর প্রচেষ্টায় অস্থায়ী একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির পূর্ব পাশেই একটি আবাসিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা , ৫০০ মিটার দক্ষিনে একটি গন কবর যা অনেক দূর দূরান্ত থেকে মৃত্যু দেহ দ্্্্্্্্ন করা হয় তা ছাড়া ১ কিলোমিটার দক্ষিণে উপজেলা শহরে।
এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বেশ কয়েকটি পরিবার সেতুসংলগ্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। যে কারণে হাজারো মানুষের যাতায়াতের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতু নড়বড়ে হয়ে এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটি দিয়ে এখন কোনো রকমে হেঁটে পারাপার হওয়া গেলেও যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর জন্য চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন কাঁচামাল বাজারজাতকরণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া উপজেলা সদরে হাসপাতালে রোগী নিতে গেলে পরতে হয় বিপাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম , আব্দুল কাদের ও নবিউল হক বলেন,কাঠের সেতু হওয়ার আগে নৌকা দিয়ে তাঁদেরকে চলাচল করতে হতো।
এখন এ কাঠের সেতুটিও চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যানবাহন নিয়ে এটি দিয়ে চলাচল করতে না পারায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। তাই তাঁরা সরকারের কাছে অতিদ্রুত সেখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন।
আবুল কাশেম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কত নেতা আইলো-গেলো, আমাগো কপালে ব্রিজ হইলো না। সবাই ভোটের আগে কথা দিয়া যায়। কিন্তু ভোটের পরে আর কথা রাখে না। বর্তমানে সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। মরার আগে এখানে যদি একটা ব্রিজ দেইখা যাইতে পারতাম, তাহলে শান্তি পাইতাম।’
পাখিউরা বাজার অটো বাইক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাহাদাত হোসেন বলেন, ব্রিজের যে অবস্থা ব্রিজটি মেরামত না করলে যে কোন সময়ের মধ্যেই ভেঙ্গে যেতে পারে ।
আব্দুর রহিম বলেন ‘জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে অনেকেই আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ খোঁজ-খবর নেন না। নতুন ব্রিজের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
প্রিন্সিপাল শেখ আব্দুল্লাহ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক জনতার কন্ঠ ২৪/২০২৫