
নজমুল হক, গাজীপুরঃ-
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্বনামধন শিক্ষক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি কমিশন ফর ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস (UK Charity Commission for England and Wales)-এর আওতাধীন অ্যাসোসিয়েশন অন কমনওয়েল্থ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি এসিইউ-এর কাউন্সিল সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ট্রাস্টি বোর্ডের ২১ জন সদস্যের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এসিইউ বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমানে কমনওয়েল্থভুক্ত ৪০০-এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এর সদস্য, যারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষা সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। একইসাথে এসিইউ কাউন্সিল ও ট্রাস্টি বোর্ড-উভয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা বাউবি তথা বাংলাদেশের শিক্ষা পরিবারের জন্য একটি ঐতিহাসিক সম্মান ও সাফল্য। এ অর্জনের জন্য ইউকে চ্যারিটি কমিশন-এর প্রধান নির্বাহী Mr. David Holdsworth অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম জাপান সরকারের মর্যাদাপূর্ণ মনবুশে বৃত্তি-তে তোয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বর্ণাঢ্য একাডেমিক জীবনে তিনি জার্মানির Alexander von Humboldt Foundation Fellowship, যুক্তরাজ্যের Commonwealth Academic Staf Fellowship এবং নেদারল্যান্ডসের Erasmus Mundus Fellowship-এর আওতায় পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।একজন খ্যাতনামা গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে তিনি ৪০টিরও বেশি প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এবং সিন্ডিকেটের সভাপতি/সদস্য হিসেবে তিনি শিক্ষার প্রসারে অবদান রেখে চলেছেন। পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন-বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম-এর এ আন্তর্জাতিক অর্জনে বাউবি পরিবার গর্বিত ও আনন্দিত। তাঁর মেধা একাডেমিক উৎকর্ষতা, নেতৃত্বগুণ ও সততা এসিইউ ট্রাস্টের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে সহায়ক হবে এবং কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।