
রাজিব পুর উপজেলা প্রতিনিধি|
স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ট্রলারযোহগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং বসতভিটা নদীতে বিলীন হচ্ছে। তারা দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন তাঁতীদল নেতা আরিফুলকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা চলছে।
রাজিবপুর উপজেলা শাখার তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক আলমাছ হোসেন মুঠোফোনে জানান, আরিফুল ইসলাম সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আরও জানান, ২০১২ সালে সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেখানে আরিফুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।সে বর্তমানে নতুন কোন কমিটিতে তার নাম নেই,তবে।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর কোদালকাটি ইউনিয়নে ট্রলার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা অভিযোগ করেন, ট্রলার চলাচলের কারণে নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খেটে খাওয়া মানুষের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে, অল্প যে জমি বাকি আছে সেটিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত অবৈধ বালুবোঝাই ট্রলার বন্ধের দাবি জানান তারা।
চর রাজিবপুরের মোহনগঞ্জ ইউনিয়নেও একইভাবে চলছে অবৈধ বালুর ব্যবসা। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে বালু তোলা ও ট্রলার চলাচল অব্যাহত থাকলে একসময় পুরো ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বালু ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন জানান, তারা চিলমারী থেকে বালু কিনে আনেন। সেখানে কীভাবে অনুমতি নেওয়া হয়, তা তিনি জানেন না।
অপরদিকে স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি নিজের জমিতে বালু কিনে ফেলে রাখছেন। তবুও প্রশাসনের অনুমতির কথা বলা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এ বিষয়ে অবগত করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ—আপনি ট্রলারপ্রতি টাকা নেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে আরিফুল ইসলাম কোন জবাব পাওয়া জায়নি।
এ প্রসঙ্গে চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, নদী রক্ষার দায়িত্ব মূলত নৌ পুলিশের। তিনি আরও দাবি করেন, মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কিছু লোক নিজেরাই বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। উদাহরণ হিসেবে তিনি বিএনপি নেতা আমিনুল মাস্টারের নাম উল্লেখ করেন। তবে আমিনুল মাস্টার মুঠোফোনে দাবি করেন, তিনি কোনোভাবেই বালু তোলা বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কিছু বালু ব্যবসায়ী প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অনুমতিহীনভাবে ট্রলার থেকে বালু কিনে অবৈধ ব্যবসা করছে। এর ফলে গ্রামীণ অবকাঠামো, কৃষিজমি ও বসতভিটা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায় সেখানে শুধু বালু ব্যবসা নয় ইয়াবা ব্যবসার বড় চালান এই বালু ট্রাক দিয়েই পাচার করা হয় বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতা আরিফুল ইসলাম। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জামাই শশুর মিলে তার এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জনসাধারণের দাবি ইয়াবা সম্রাট আরিফ কিভাবে বালু পয়েন্ট এ কার ছত্রছায়ায় কোটি টাকার লেনদেন করলো।
সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক।এবং খুবই
দ্রুত অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হোক।