স্টাফ রিপোর্টার : হাসমত |
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সুরা বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইন ও সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক সুইং সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী কাশিমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী মোছাঃ সীমা খাতুন (৩৪) জানান, তিনি কাশিমপুর থানাধীন দক্ষিণ বারেন্ডা এলাকার ‘নূর নীট’ মিনি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সুইং সেকশনে হেল্পার হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত মোঃ ওয়াহিদ মিয়া (৪০) ওই কারখানায় সুইং সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। একই কর্মস্থলে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে কাশিমপুর বাজার এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানের সামনে অভিযুক্ত ওয়াহিদ মিয়া কথা বলার অজুহাতে সীমা খাতুনের ব্যবহৃত একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। মোবাইলটি ছিল Relme C61 (6/128 GB) মডেলের, যার আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী আরও জানান, মোবাইল ফোনের কভারের ভেতরে তার ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি সংরক্ষিত ছিল। মোবাইল ফোনে থাকা দুটি সীম কার্ড নম্বরে পরবর্তীতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত ফোন রিসিভ করেননি এবং এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে অভিযুক্ত বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীকে ফোন করে মোবাইল ফেরত দেওয়ার শর্তে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত সীমা খাতুনের মোবাইলে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে ভুক্তভোগী চরম মানসিক চাপে পড়েন এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং অভিযুক্তের সঠিক পরিচয় ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগায় অভিযোগ দায়েরে কিছুটা বিলম্ব হয়।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। থানার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কর্মস্থলে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমবে বলে তারা মনে করেন।