বিশেষ প্রতিনিধি |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সহকারী শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিন এই কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক ও ভূঞাপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেল পারভেজ নিশ্চিত করেন, সোমবার ও মঙ্গলবার সহকারী শিক্ষকবৃন্দ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা প্রধান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, শহীদ সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারের আত্মত্যাগসহ দেশের দুই শতাধিক প্রাথমিক শিক্ষকের সংগ্রাম ও রক্ত কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। তারা অভিযোগ করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রদত্ত আশ্বাস সত্ত্বেও বাস্তবে একাদশ গ্রেড বাস্তবায়নসহ তাদের তিনটি মৌলিক দাবির কোনটিরই সন্তোষজনক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা তাদের দাবিসমূহের ব্যাপারে অত্যন্ত স্পষ্ট ও অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ, দশ ও ষোড়শ বছরে উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা দূরীকরণ এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ একযোগে ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ না করা পর্যন্ত তারা তাদের এই প্রতিবাদী অবস্থান থেকে কোনোরূপ সরে আসবেন না। ফলে, ভূঞাপুরের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান এই অচলাবস্থা নিরসনের কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইলে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগ না থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় সহকারী শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক ও ভূঞাপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেল পারভেজ জানান, সোমবার ও মঙ্গলবার টানা দুই দিন সহকারী শিক্ষকবৃন্দ কর্মবিরতি পালন করেছেন। ফলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা জানান, তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। তারা বলেন, শহীদ সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারসহ দেশজুড়ে দুই শতাধিক শিক্ষকের আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।
তারা অভিযোগ করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বাস দেওয়া হলেও একাদশ গ্রেড বাস্তবায়নসহ তাদের মূল তিনটি দাবির কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সহকারী শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন—
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ,
২. দশ ও ষোড়শ বছরে উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা দূরীকরণ,
৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনোভাবেই কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন না। ফলে ভূঞাপুরের শিক্ষাঙ্গনে চলমান অচলাবস্থা শিগগিরই কাটবে—এমন কোনো লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।