স্টফ রিপোর্টার, হাসমত : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুমহানগরের কাশিমপুর ১নং ওয়ার্ডের জিরানি উত্তর পানিসাইলে অবস্থিত (পূর্বের গারো স্কুল) নতুনকুঁড়ি আদর্শ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন—তাঁদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিমপুর ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার।সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—মোঃ আজিজুল ইসলাম মানু, পরিচালক, কফিল উদ্দিন আহম্মেদ পাবলিক স্কুল ও সভাপতি, গাজীপুর জেলা কেজি স্কুল এসোসিয়েশন এবংমোঃ শফিকুল ইসলাম, পরিচালক, মোমেনা বেগম পাবলিক স্কুল ও সভাপতি, ১নং ওয়ার্ড কেজি স্কুল এসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আব্দুল বারেক মোল্লা।সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে নতুনকুঁড়ি আদর্শ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নতুনকুঁড়ি আদর্শ বিদ্যালয়ের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদিন বলেন,
“এলাকার অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ একটি শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে শুধু তার ভবিষ্যৎ নয়—বদলে যায় দেশ, বদলে যায় জাতি।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন,
“শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। নতুনকুঁড়ি আদর্শ বিদ্যালয় যেভাবে শিশুদের নৈতিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিজয় দিবসের মতো দিনে এমন আয়োজন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
সন্ধ্যার পর শুরু হওয়া মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও নাট্যাংশে মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শনার্থীরা। নাচে-গানে, আবৃত্তি ও বর্ণনাট্যের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বিজয়ের আনন্দ ফুটে ওঠে মঞ্চে। পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
বিজয় দিবসের এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম, ইতিহাস চেতনা ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।